নাগরাকাটা: সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ‘পরীক্ষা পে চর্চা’তে (Pariksha Pe Charcha) অংশ নেওয়ার পর এখন অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে জীবনের অন্যতম দুই বড় পরীক্ষায় বসতে চলা নাগরাকাটার জওহর নবোদয় স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ওই ছাত্র-ছাত্রীদের বোর্ড পরীক্ষা। তার আগে প্রতি বছরের মতো এবারও মোদি ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন। মূল অনুষ্ঠানটি হয় নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপে। সেখান থেকে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয় দেশজুড়ে। পরীক্ষা ভীতি কাটিয়ে ওঠার মূল মন্ত্র কি হতে পারে সেটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মূল কথা। তিনি সম্পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে ও খোলা মনে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, সন্তানদের ওপর পড়াশোনা নিয়ে অযথা কেউ যাতে মানসিক চাপ না দেন। ছাত্রছাত্রীদের পর্যাপ্ত ঘুম ও সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ওপর জোর দিতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদিকে।
এদিন টেলিভিশনের মাধ্যমে কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রক পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলার একমাত্র ওই নবোদয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও মোদীর বক্তব্য শোনার বিশেষ আয়োজন করা হয়। পরীক্ষা জীবনের একটি অংশ মাত্র। গোটা জীবন নয়। মোদির এই বক্তব্য যে নবোদয় স্কুলের পড়ুয়াদের মনে ছাপ ফেলেছে তার প্রমাণ মিলেছে প্রত্যেকের মুহুমুর্হু হাততালির মাধ্যমে।
নাগরাকাটার জওহর নবোদয় স্কুলের অধ্যক্ষ জীতেন্দ্র কুমার সিং বলেন, ‘এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষা পে চর্চার অনুষ্ঠানটি সপ্তম বর্ষে পা দিল। তাঁর বক্তব্য ছাত্রছাত্রীদের আগামী দিনের পথ চলার পাথেয় হয়ে থাকল। শুধু পরীক্ষার্থীরাই নয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেও তাঁর গঠনমূলক ও সুচিন্তিত বার্তার প্রশংসা করার কোনও ভাষা নেই।’ নবোদয় স্কুলের অনুষ্কা বাস্কে নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর কোথায়, ‘পরীক্ষা নিয়ে একটু চাপে তো রয়েইছি। তবে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পরীক্ষার এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলার দিশা দেখিয়েছেন তা আজীবন মনে থাকবে।