শিলিগুড়ি: বৃষ্টি হলেই নাকি পরিবর্তন ঘটবে বর্তমান আবহাওয়ার। আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদের তেজে দূর হবে শীতের কাঁপন। প্রতীক্ষিত সেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া-মোরগ। পার্বত্য এলাকা তো বটেই, বৃষ্টির জলে ভিজতে চলেছে উত্তরের সমতলও। বৃষ্টি শেষে শীত বিদায় নেবে কিনা, সেই উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে ইংরেজি মাসের শেষ পর্বে ফের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জবুথবু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ। পারদ পতন এতটাই ঘটতে পারে যে, ভাঙতে পারে অনেক রেকর্ড। যার ইঙ্গিত মিলবে মঙ্গল থেকেই।
মাঝে জলপাইগুড়িতে এক পশলা বৃষ্টি হলেও সার্বিকভাবে ৭ ডিসেম্বর শেষ ভিজেছিল উত্তরবঙ্গের মাটি। টানা এতদিন বৃষ্টিহীন উত্তরবঙ্গ সাম্প্রতিককালে থাকেনি। তেমন ভাবেই বর্ষবরণের রাত থেকে টানা শীতের ব্যাটিংও দেখা যায়নি। ঠান্ডার প্রকোপ কবে দূর হবে, এখনই বলা মুশকিল। বরং মাসের শেষে আরও জাঁকিয়ে শীতের সতর্কতা শোনাচ্ছেন আবহবিদরা। তাঁদের কথায়, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। উত্তর-পশ্চিম হাওয়া যেমন কুয়াশা টেনে আনবে এই অঞ্চলে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব এবং উত্তুরে হাওয়ার দাপটে দিন-রাতে পারদ পতন ঘটবে। সিকিমের পাশাপাশি দার্জিলিং পাহাড়েও তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু শহর এলাকায় তুষারকণা আছড়ে পড়বে কিনা, সোমবারও তা নিশ্চিত নয়।
এরই মাঝে আবার ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। বিপরীতধর্মী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। সঙ্গে দোসর হয়ে থাকছে ঝঞ্ঝা। ফলে পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি অনিবার্য। দার্জিলিং পাহাড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হলেও বৃষ্টির জন্য সমতলকে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে আবহবিজ্ঞানীদের বক্তব্য। বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি চলতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। আবহাওয়া দপ্তরের স্পেশাল বুলেটিন অনুসারে, মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হবে। বুধবার পাহাড়ের পাশাপাশি সমতল শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গৌরবঙ্গের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার। আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহার বক্তব্য, ‘বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। পার্বত্য এলাকার পাশাপাশি সমতলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে।’