পারমিতা রায়, শিলিগুড়ি: মানুষের মস্তিষ্কের ভিজুয়াল ইলিউশন নিয়ে গবেষণায় (Research) নরওয়ে (Norway) পাড়ি দিচ্ছেন শহরের ছেলে শুভঙ্কর কর্মকার। হিউম্যান সাইকোলজির (Human Psychology) বিশেষ এই বিষয় নিয়ে বিদেশে পড়ার সুযোগ পেয়ে খুশি শিলিগুড়ির (Siliguri) এই কৃতী ছাত্র। শিলিগুড়ির শিবরামপল্লির বাসিন্দা শুভঙ্করের শৈশব থেকেই মনোবিজ্ঞানের প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল। শিলিগুড়ির মার্গারেট স্কুল থেকে পড়াশোনার পর কলকাতায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার।
শিলিগুড়িতে পড়াশোনার সময় থেকেই ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার জেদ ছিল শুভঙ্করের। বাবা গোপাল কর্মকার পেশায় উকিল। মা সীমা গৃহবধূ। ছেলের পরিশ্রমের ওপর আস্থা ছিল বাবা-মায়ের। কলকাতায় কলেজ পাশ করার পর আইআইটি মাদ্রাজে বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ পান শুভঙ্কর। সেখান থেকেই তাঁর ভবিষ্যতে বিদেশে গিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
বর্তমানে নরওয়ের বারগেইন ইউনিভার্সিটিতে অপটিকাল ইলিউশন নিয়ে পড়তে যাবেন শুভঙ্কর। যার মাধ্যমে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটে, এই সমস্যাকে কাটিয়ে পথ দুর্ঘটনাকে কতটা কমানো সম্ভব, এই নিয়েই তিন বছর নরওয়েতে গবেষণা চলবে তাঁর।
মানুষের মস্তিষ্কের ভিজুয়াল ইলিউশনের মাধ্যমে অনেক সময়ই ভুল কিছু কল্পনা করে। এই কল্পনার ফলে রাস্তাঘাটে পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসব কমানো যায় কীভাবে, তা নিয়েই পড়াশোনায় বিদেশ পাড়ি শিলিগুড়ির ছেলের। তিন বছরের গবেষণায় ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, ইইজি এবং ম্যাথামেটিকাল মডেলের ব্যবহার করা হবে, বলছিলেন শুভঙ্কর। প্রথম বর্ষে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা স্কলারশিপ পাবেন তিনি। শুভঙ্করের কথায়, ‘মনোবিজ্ঞানের প্রতি আলাদা একটা টান ছিল। সেই থেকেই কঠিন পরিশ্রম। এখন বাইরে পড়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। আশা করছি আমার গবেষণার মাধ্যমে মানুষের কিছু সাহায্য হবে।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা গোপাল। তিনি বলছিলেন, ‘ছোট থেকেই ছেলে পড়াশোনার প্রতি বেশ মনোযোগী। ছেলে বাইরে যাচ্ছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে অনেক উন্নতি করবে।’ ভবিষ্যতে ভিজুয়াল ইলিউশন নিয়ে পড়াশোনা করে এগিয়ে যেতে চান শুভঙ্কর। নিজের পড়াশোনার মাধ্যমে মনোবিজ্ঞানে নতুন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টায় তিনি।