গাজোল: মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরনোর আগেই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক। দেড় মাস আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে পঞ্চমুখী কালী মন্দিরে বিয়ে করে তাঁরা। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা লেগেই থাকতো। সম্ভবত, সেই বচসার জেরে বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল নাবালিকা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে। ম্যাজিস্ট্রেট ইনকোয়েস্টের পর মৃতদেহ পাঠানো হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম কোহিনূর খাতুন (১৬)। শ্যাম সুখী বালিকা শিক্ষানিকেতনের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি গাজোল ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রহিমপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে কদুবাড়ী এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো স্বামী-স্ত্রী। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কোহিনূরের বান্ধবী সুমাইয়া ইয়াসমিন জানায়, বন্ধন ব্যাংকের কর্মী ময়না এলাকার বাসিন্দা সুদীপ নামে এক যুবকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল কোহিনূরের। মাস দেড়েক আগে তাঁরা কালী মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে। তারপর থেকে কদুবাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর প্রায় দিনই বচসা লেগে থাকত। কাজের সূত্রে ইসলামপুর এলাকায় থাকতে হত সুদীপকে। শনি, রবিবার ছুটির সময় আসতো বাড়িতে। এই শনিবারও এসেছিল। কিন্তু রবিবার চলে যায়। রবিবার সুদীপকে থেকে যেতে বলেছিল কোহিনূর। কিন্তু সুদীপ চলে যাওয়ায় এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়েছিল। এরপর সোমবার কোহিনূরের বই ফেরত তাঁর মা ও বান্ধবী তাঁর বাড়ি যায়। কিন্তু বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর দরজা ভেঙে দেখা যায় গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে কোহিনূর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে গাজোল থানার পুলিশ। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।