বার্ণপুর ও আসানসোলঃ প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের শান্তিনগরের সাউ রোডের জোড়া মন্দির এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের নাম জিৎ পাশোয়ান। পরিবারের তরফে এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করে এদিন সকালে হিরাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বার্ণপুরের শান্তিনগরের সাউ রোডের জোড়া মন্দির এলাকার এক বাসিন্দা তার বাড়ির চাবি কয়েকজন যুবককে দিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে জিৎ পাশোয়ান ছিলেন। সে অন্য যুবকদের সঙ্গে রাতে ঐ বাড়িতে শুতে যেতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও জিৎ সেখানে শুতে যায়। তার মধ্যে এক যুবক রাত এগারোটার পরে টোটো নিয়ে ভাড়ায় চলে যায়। রাত দুটো নাগাদ সে ঐ বাড়িতে শুতে আসে। কিন্তু জিৎ দরজা খোলেনি বলে জানা গেছে। এরপর ঐ যুবক নিজের বাড়িতে শুতে চলে যায়। শুক্রবার সকালে জিতের বাড়ির লোকেরা তাকে ফোন করে। বারংবার ফোন করেও সারা না পেয়ে পরিবারের লোকেরা জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন সিলিং ফ্যানে ঝুলছে জিতের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে হিরাপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ যুবক কোন কারণে মানসিক অবসাদ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে পুলিশের এই দাবি মানতে চাননি মৃত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। মৃত কিশোরের ছোট কাকা অভিজিৎ পাশোয়ান বলেন, ভাইপো আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাঁকে খুন করা হয়েছে। তার আরও দাবি, হোলির সময় এক যুবকের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। সে হুমকি দিয়েছিল। হতে পারে, ঐ যুবক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আপাততঃ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।