জটেশ্বর: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল এক বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, পরীক্ষার মধ্যে বিয়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী (Suicide) হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। শুক্রবার রাতে শোবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর ১ গ্রামপঞ্চায়েতের কালিবাড়ি বাজার এলাকায়।
মৃত ওই ছাত্রীর নাম অকলিমা বেগম (২১)। সূত্রের খবর, খগেনহাট ওয়েলফেয়ার (Welfare) অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় রাবেয়া খাতুন স্কুল থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলেন অকলিমা। ইতিমধ্যেই তিনটি পরীক্ষা দিয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম এই ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিক শুরুর আগের দিন প্রতিবেশী যুবক খুরশিদ আলমের সঙ্গে তাঁর সামাজিক মতে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম রাত শ্বশুর বাড়িতেই কাটায় অকলিমা। পরীক্ষার জন্য বিয়ের পরদিনই সে বাপের বাড়িতে চলে আসে। শুক্রবার সারাদিন পড়াশুনা করার পর সন্ধ্যায় আচমকা ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আলো নিভিয়ে দেন তিনি। এর ঘন্টাখানেক পর অনেক ডাকাডাকির করলেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান তাঁর মা আলেয়া খাতুন। পরে আশপাশের লোকজন ডেকে দরজা ভাঙতেই তাঁরা দেখতে পান অকলিমার ঝুলন্ত দেহ। পরে জটেশ্বর ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।
কেন অকলিমা হঠাৎ করেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ে করে সংসার করতে চায়নি অকলিমা খাতুন। তিনি চেয়েছিলেন উচ্চশিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হতে। বিয়ে দেওয়ার কারণেই হয়তো অবসাদে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে সে।
জটেশ্বর ফাঁড়ির ওসি অমিত শর্মা জানান, ‘ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unnatural Death) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’