রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষ্ণবাবুকে বোঝা যায় না। উনি কোন দিকে আছেন, আর কোন দিকে থাকেন। সেজন্য বিজেপিতেও যেতে পারেন হয়তো। রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী (Raiganj TMC Candidate) কৃষ্ণ কল্যাণীকে (Krishna Kalyani) এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার রাজ্য সড়ক ধরে বালুরঘাটে (Balurghat) যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, ‘এই পুলিশকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না। কারণ পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দালাল হিসেবে কাজ করছে।’ এদিন কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীবাড়িতে পুজো দেন সুকান্ত। এরপর সেখানেই দুপুরের খাবার সারেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কার্তিক পাল সহ অন্যরা।
এদিন মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে উনি পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছেন। এথিক্স কমিটির প্রস্তাব অনুসারে সিবিআই তদন্ত করছে। তাই সিবিআই তাঁর বাড়িতে যাবে এটাই স্বাভাবিক।’ তৃণমূল কংগ্রেসের বন্ড বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের পুরোটাই অস্বস্তি। এজন্য বন্ডটা আমরা চালু করার কথা বলেছিলাম। কে, কাকে টাকা দেয় জানা যাবে। বন্ড চালুর আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে টাকা দিত, জানা যেত না। এখন জানা যাচ্ছে।’ সুকান্তের কথায়, ‘তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের মারামারি সব জায়গায় হবে। এখন কেবল শুরু হয়েছে।’ রাজ্যপালের ক্ষমতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কী ক্ষমতা আছে, তা কোর্ট বলে দিয়েছে। তাই ব্রাত্যবাবুর উচিত রাজ্যপালের সঙ্গে কোঅপারেট করা।’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হয়েছে নাবালক বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ কোনও পরিকাঠামোই নেই। দক্ষিণ দিনাজপুরে তো বিল্ডিং তৈরি হয়নি।’
সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের পালটা তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘কৃষ্ণের ভয়ে প্রার্থী দিতে পারছে না বিজেপি। লোকের মধ্যে বিভ্রান্ত, চক্রান্ত করতেই এইসব বলছেন উনি। ওনারা ধরে নিয়েছেন, কৃষ্ণ জিতে গিয়েছেন। কৃষ্ণকে হারানো যাবে না, এটাই স্বীকার করে নিয়েছেন। ওনারা হার স্বীকার করে নিয়েছেন। রায়গঞ্জ থেকে হার শুরু হয়েছে, ৪২টি আসনেই হারবে বিজেপি।’