কলকাতা: ‘ভোট এলেই কেন বারবার পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী? বারবার পায়ে আঘাত মানেই শুভ লক্ষণ নয়’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট লাগার ঘটনায় এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখানেই শেষ নয়। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার কথা ছিল। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সুকান্ত।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ সফরের শেষদিনে কপ্টার দুর্যোগের মুখে পড়ায় পা এবং কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে পঞ্চায়েতের প্রচারসভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকে সভা শেষ করে কপ্টারে করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় আচমকাই দুর্যোগের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। আবহাওয়া খারাপ থাকায় কাঁপতে থাকে কপ্টারটি। প্রবল ঝাঁকুনিতে পথ বদলে সেবক এয়ারবেসে কপ্টারটির জরুরি অবতরণ করান পাইলট। সেখানেই কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চোট লাগে বলে জানা গিয়েছে। সেবক এয়ারবেসেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে কলকাতা উড়ে যান। বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বিমানবন্দরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গাড়ি করেই হাসপাতালে পৌঁছোন। বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতা পৌঁছোতেই মমতাকে সোজা নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। তাঁর চোট কতটা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য উডবার্ন ওয়ার্ডের কেবিন তৈরি রাখা হয়। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি রয়েছেন চিকিৎসকেরাও। এসএসকেএমে পৌঁছে যান রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। কপ্টার জরুরি অবতরণ করার পর ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর খবর নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই চোট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এ ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মাটিতে পা রেখে চলতে শিখুন। নির্বাচনের আগে দুর্ঘটনা কেন হয়?’।