উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন (Patanjali ads case) মামলায় মঙ্গলবার বিস্তারিত হলফনামা দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন যোগগুরু রামদেব (Ramdev)। কিন্তু রামদেব এবং পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালকৃষ্ণের (Balkrishna) ক্ষমাপ্রার্থনা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘আমরা অন্ধ নই।’ পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আদালত ‘উদার হতে চায় না’ বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি কী ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের এহেন মন্তব্যেও সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং এ আমানুল্লাহর সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে, ‘কাগজে কলমে ক্ষমাপ্রার্থনা চাওয়া হয়েছে। আমরা এই ক্ষমাপত্র মেনে নিচ্ছি না। আমরা মনে করি ইচ্ছাকৃত ভাবে অঙ্গীকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’ ক্ষমাপত্রটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর আগে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। সেই নিয়েও শীর্ষ আদালতের সমালোচনার মুখে পড়েছেন রামদেব।
পতঞ্জলি পক্ষের আইনজীবী মামলার হলফনামা পড়ার সময়ও বিচারপতি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আপনারা হলফনামাতেও ফাঁকি দিচ্ছেন। এটা কে তৈরি করেছে, আমি অবাক।’ যদিও উত্তরে পতঞ্জলি পক্ষের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল আইনের ব্যাপারে পেশাদার নন। তাই কিছু ভুল হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে উদার হতে চান না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারপতি। পাশাপাশি পতঞ্জলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং বিভাগও।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসাবে নিজেদের ওষুধের মিথ্যা প্রচার করার বিষয়ে পতঞ্জলিকে সতর্ক করেছিল শীর্ষ আদালত। জরিমানা হতে পারে বলেও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। এদিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত আরও জানায়, বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে রামদেব ও বালকৃষ্ণ আদালতের হাজিরা এড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। এই মামলার রায় আগামী ১৬ এপ্রিল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।