উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তি পেল প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।অর্থাৎ আর কোন বাধা থাকল না প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে।সোমবার দুপুরে দেশের শীর্ষ আদালত দেখাল সবুজ সংকেত।ফলে ১১ হাজার ৭৬৫ জনের চাকরির ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা থাকল না।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বহুদিন পর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হওয়ায়, অনেকেই চাকরির আশায় দিন গুনছিলেন।কিন্তু এরপর তৈরি হয় জটিলতা।জটিলতার কারণ ছিল বিএড ও ডিএলএড দের নিয়ে।প্রথমত, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির ক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন না।অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ডিএলএড পাশ।তবে সেখানেও ছিল সমস্যা।২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না।পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশের জেরে তৈরি হয়েছিল জটিলতা।
এরপর ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০২০ সালে ভর্তি হন ডিএলএড কোর্সে।২০২২-এর সেপ্টেম্বরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।কিন্তু সেই সময় ওই চাকরি প্রার্থীরা হাতে পাননি ডিএলএড-এর মার্কশিট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ দ্বারস্থ হন আদালতের। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে।এরপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয় প্যানেল প্রকাশের ক্ষেত্রে। কিন্তু পর্ষদ জানিয়েছিল, প্যানেল তাদের কাছে তৈরি আছে।
এদিন স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ায় নিয়োগের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাউন্সেলিং, ইন্টারভিউ সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে। মামলা চলার কারণে এতদিন ব্যাহত হচ্ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া।