শিলিগুড়ি: পাহাড়বাসীর রাত্রিবাসের জন্য শিলিগুড়িতে গোর্খা ভবন তৈরি করতে চায় গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। পাহাড়ের বহু মানুষ রোজই নানা কাজে শিলিগুড়ি আসেন। অথবা কলকাতা বা অন্য কোনও জায়গা থেকে ফিরতে দেরি হলে পাহাড়ের গাড়ি না পেয়ে অনেককে শিলিগুড়িতে থাকতে হয়। তাঁদের জন্যই গোর্খা ভবন তৈরির পরিকল্পনা বলে জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা জানান। তিনি বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের জেলা শাসককে জমির জন্য বলা হয়েছে। জিটিএ নিজের খরচে এই ভবন তৈরি করবে। এখানে সামান্য খরচেই পাহাড়ের মানুষ রাতে থাকার সুযোগ পাবেন।’
প্রতিদিন দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিকের প্রচুর মানুষ বিভিন্ন কাজে শিলিগুড়ি আসেন। কাজ শেষে বেশি রাতে পাহাড়ের গাড়ি মেলে না। কারও কারও আবার অন্য জেলা বা রাজ্য থেকে বাস, ট্রেন, বিমানে শিলিগুড়িতে ফিরতে ফিরতে সন্ধে হয়ে যায়। ফলে, তাঁদেরও পাহাড়ের গাড়ি পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময়ই শিলিগুড়ি থেকে ভোরের গাড়ি ধরতে গেলে পাহাড়বাসীকে আগের রাতেই শহরে এসে থাকতে হয়। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রচুর টাকা হোটেল ভাড়া গুনতে হয়। এই সমস্যা সমাধানেই জিটিএ শিলিগুড়িতে গোর্খা ভবন তৈরির কথা ভাবছে। ইতিমধ্যেই এজন্য জমি চেয়ে দার্জিলিংয়ের জেলা শাসককে চিঠি দিয়েছেন জিটিএ চিফ। তাঁর বক্তব্য, ‘শিলিগুড়িতে মাড়োয়ারি, বিহারি সহ সবারই পৃথক ভবন রয়েছে। কিন্তু গোর্খাদের কোনও নিজস্ব ভবন নেই। তাই, আমরা এই ভবন করতে চাই। শীঘ্রই এর বাস্তবায়ন করব।’
কয়েকদিন আগে দার্জিলিং মোড় লাগোয়া দাগাপুরে পরিবহণ চালকদের জন্য একটি আবাসন তৈরি শুরু করেছে জিটিএ। পাহাড়ের গাড়িচালকদের জন্য এখানে থাকা, খাওয়া ও রিফ্রেশমেন্টের সব ব্যবস্থা থাকবে। দার্জিলিং মোড়ে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের আমলে তৈরি পর্যটন দপ্তরের ভবনটিও অনীতরা নতুনভাবে তৈরি করেছেন। সেই ভবনটির নীচতলায় জিটিএ পর্যটনের অফিস রেখে উপরের দুই তল বেসরকারি সংস্থাকে লিজে দিচ্ছে জিটিএ। এখানে খরচ একটু বেশি পড়বে। কিন্তু গোর্খা ভবনকে পুরোপুরি জনপরিষেবামূলক করতে আগ্রহী জিটিএ।