হরিশ্চন্দ্রপুরঃ সোমবার সাতসকালে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কুড়িটি ঘর। ক্ষতিগ্রস্তরা সকলেই দিনমজুর। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা অঞ্চলের হাতি ছাপার মামু মোড় এলাকায়। ঘটনার জেরে বাড়িঘর আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সোনা দানা এমনকি নগদ টাকা পয়সা সব আগুনের পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন নদী বাঁধের উপর খোলা আকাশের নীচে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিক সহ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাতটা নাগাদ মামু মোড় এলাকার একটি বাড়িতে রান্না করার সময় আগুন লেগে যায়। সেই আগুন নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িতে। সেই বিধ্বংসী আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় এলাকার সর্বমোট কুড়িটি ঘর। আগুনের প্রকোপ এতটাই বেশি ছিল যে ঘর থেকে আসবাবপত্র, খাদ্যরসদ সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পর্যন্ত বের করার সময় পর্যন্ত পাননি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা।
এদিকে আগুন লাগার পরপরই এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। ততক্ষণে এলাকার প্রায় অধিকাংশ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামটি পরিযায়ী শ্রমিকের গ্রাম। এলাকার অধিকাংশ পুরুষ মহিলা ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তাঁদের নিজস্ব কোনও বসবাসের জায়গা নেই। সরকারি জায়গায় কোনওরকমে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মন্ত্রী তজমুল হোসেন। এলাকার ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে অবিলম্বে সরকারি সাহায্য পান তার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। খবর পেয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় ছুটে যান বিডিও তাপস পাল। তিনি জানান অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ত্রাণ তুলে দেওয়া হবে।