উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার ঝোপ থেকে উদ্ধার হল ২টি ব্যালট বাক্স। ব্যালট বাক্সগুলি উদ্ধার হয়েছে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর এলাকা থেকে। গতকাল গভীর রাতে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপাড়ার একটি বুথ থেকে লুট হয় তিনটি ব্যালট বাক্স। তারমধ্যে দুটি বাক্স এদিন উদ্ধার হলেও তৃতীয় বাক্সের খোঁজ মেলেনি। তৃতীয় বাক্সের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ।
তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে লাগামহীন সন্ত্রাস দেখেছে রাজ্য। ভাঙচুর হয়েছে একের পর এক ব্যালট বাক্স। কোথাও ব্যালট বাক্সে জল ঢালা হয়েছে, কোথাও দেওয়া হয়েছে আগুন। কোথাও আবার পুকুরে ফেলা হয়েছে ব্যালট বাক্স। কোথাও আবার ব্যালট বাক্স লুঠ করে ছুটতে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীকে। শনিবার রাতে ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার পর ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপাড়ায়। জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে একটি বুথ থেকে ৩টি ব্যালট বাক্স লুঠ করে মুখোশ পরা দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ও নির্বাচন কর্মীদের চোখের সামনে থেকে তিনটি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কাল রাত থেকেই ব্যালট বাক্স উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ।
রবিবার সকালে স্থানীয় পাটখেতের পাশে ঝোপের ভিতরে একটি ব্যালট বাক্স দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর যায় জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায়। পুলিশে। পুলিশ এসে তল্লাশি চালিয়ে ঝোপের ভিতর থেকে ২টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ব্যালট বাক্স দুটির খোঁজ পাওয়া গেলেও জেলা পরিষদের ব্যালট বাক্সের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় এলাকায় ফের ভোটগ্রহণের দাবি জানাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। শাসক আর পুলিশ হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে। পুলিশ পাহারা থাকলে কী করে দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স লুঠ করল সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।