উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ৩ অক্টোবর রাতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যায় উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ। সেই বিপুল জলরাশি নেমে এসে মিশে যায় তিস্তায়। নিমেষে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায় ৩০-৩৫ ফুট। হড়পা বানে ধ্বংসলীলা চালায় তিস্তা। তিস্তা গর্ভে চলে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। তিস্তার গর্ভে চলে যায় শ’য়ে শ’য়ে বাড়ি। প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এখনও খোঁজ নেই অনেকের।ঘরবাড়ি, সহায় সম্বল হারিয়ে হাজারে হাজারে মানুষ আজও অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নীচে। এবার সেই অসহায় মানুষগুলোর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন।
গত বৃহস্পতিবার রাতের ধ্বংসলীলার ছাপ এখনও স্পষ্ট তিস্তাবাজারে। স্থানীয়দের সহায়তায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে স্থানীয় এক স্কুলে। সর্বস্ব হারিয়ে সেই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। রবিবার শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যরা ত্রাণ নিয়ে পৌঁছায় হড়পা বানে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত তিস্তাবাজারে। সংস্থার পক্ষে জ্যোতির্ময় পাল জানিয়েছেন, দুর্গতদের জন্য তিস্তাবাজারে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। বিলি করা হয়েছে ২০০ কম্বল, ২০০ মশারি, প্রচুর শুকনো খাবার, বাচ্চাদের জন্য দুধ সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী। বিলি করা হয়েছে বাসনপত্রও। পড়ুয়াদের জন্য দেওয়া হয়েছে বই খাতাও। আগামী দিনে আবারও দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ পৌঁছে দেবেন তারা। পাহাড়ের দুর্গতদের সহায়তায় প্রত্যেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন।