মেখলিগঞ্জ: বিয়ের পরদিনই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বরের। মনে করা হচ্ছে, প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে পরিবার মেনে না নেওয়াতেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক। মৃত যুবক আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার কুঞ্জনগরে বাসিন্দা ধীজেন্দ্র চক্রবর্তীর(৩০)। তাঁর সঙ্গে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ধাপড়া এলাকার এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পাঁচ বছর ধরে তাঁরা দুজনেই কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে দুজনেই বাড়ি ফিরে আসেন। সোমবার বাড়িতে কিছু না জানিয়ে রানিরহাটের নয়ারভিটা এলাকায় যুবতীর মামার বাড়িতে যান যুবক। যুবতীর মামা অরুণ রায়ের দাবি, তাঁরা কালীমন্দিরে বিয়ে করে এসেছেন বলে জানায়। তাদের কথা শুনে তিনি প্রথমে যোগাযোগ করেন যুবকের বাড়িতে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই বিয়ে তাঁরা মানবেন না। এরপরই স্থানীয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে যুগলের বিয়ে হয়। রাতেই হয় সিঁদুর দান ও মালাবদল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন যুবতীর বাবা-মা। এরপরই বুধবার সকালে মামা শ্বশুরের বাড়ির শোবার ঘর থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সদ্য বিবাহিত যুবকের দেহ।
এদিকে, খবর পেয়েই বুধবা সন্ধ্যায় যুবকের পরিবার মেখলিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। মৃত যুবকের বাবা দীপেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই। আমরা খোঁজাখুঁজি করে পাচ্ছিলাম না। আমার ছেলেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাই এবং জানতে পারি বিয়ের পরই সে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি হয়েছে জানি না। তবে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পেয়েছি ছেলেকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা মেখলিগঞ্জে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো।’ এ বিষয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, মঙ্গলবার ওই যুবতী যুবককে ফোন করে তার মামার বাড়িতে ডেকে আনে। তারপর তারা বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে যুবকের পরিবার মেনে নেয়নি। সেই অভিমানে যুবক আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।