বালুরঘাট: নাবালিকা মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে ডেকে বকাঝকা করেছিল নাবালিকার অভিভাবকরা। তারপর থেকেই লাগাতার প্রেমিকের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এমনকি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছে নাবালিকা মেয়েটিও। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছে যে, মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেই এখন নিরাপত্তার দাবিতে বালুরঘাট থানার দারস্থ হতে হয়েছে ওই পরিবারকে। মেয়ের প্রেমিক এখন ক্রমাগত প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগ পেয়েই বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক নাবালিকার সঙ্গে পাশের গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ১৪ বছরের নাবালিকা বালুরঘাট শহরের এক নামী স্কুলের ছাত্রী। আর প্রেমিক যুবক পেশায় ট্রাক্টর চালক। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই প্রেমের কারণে তাঁদের মেলামেশাও বাড়তে শুরু করেছে। এই ঘটনা নজরে আসে ওই নাবালিকার পরিবারের। গতকাল ওই যুবককে বাড়িতে ডেকে, মেয়ে ও দুজনকেই শাসন করেন ওই অভিভাবকরা। তাঁদের মেলামেশা বন্ধ করার জন্য বলা হয়। এরপরই ওই কিশোরী ঘরে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে, দ্রুত তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে ওই যুবক ধারাবাহিকভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
নাবালিকার বাবা বলেন, ‘মেয়ে ভুল পথে যাচ্ছে তাই তাঁকে শাসন করেছি। যে ছেলেটি মেয়েকে বিরক্ত করে, তাকেও ডেকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। এরপরেই মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে এবং ওই ছেলেটি এখন ক্রমাগত আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলেছে। তাই নিরাপত্তার দাবিতে বালুরঘাট থানার দারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি।‘ পুরো ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।