তুফানগঞ্জ: লম্বায় ৭-৮ ফুট। উত্তরপ্রদেশে এই লাউয়ের চাষ হয়ে থাকে বলেই জানা যায়। এবার উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে এই লাউ চাষ করেছেন এক শিক্ষক। ইতিমধ্যে শতাধিক ফলন ধরেছে গাছে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রূপম পালের বাড়ি। তিনি পেশায় শিক্ষক, নেশায় চাষি। বিদেশি বহু ফলের চাষ করে ইতিমধ্যে সংবাদপত্রের শিরোনামে এসেছেন তিনি।
রূপম বাবু বলেন, ‘নরেন্দ্র শিবানী ভ্যারাইটির ৪টি লাউ বীজ উত্তরপ্রদেশ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। সেই বীজ থেকে চারা তৈরি করে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে লাগিয়েছিলাম। এক মাস পর থেকেই ফুল আসতে শুরু করেছিল। বর্তমানে আট ফুট লম্বা মাচার মধ্যে শতাধিক লাউ ধরে রয়েছে। এই লাউয়ের বৈশিষ্ট্য হল সরু। লম্বায় ৭-৮ ফুট হয়ে থাকে। এক একটির ওজন গড়ে চার কিলোর মতো হবে। এখনও পর্যন্ত বাজারে বিক্রির জন্য তোলা হয়নি। শীঘ্রই তোলা হবে। তবে সাধারণ লাউয়ের তুলনায় এর চাহিদা বেশি হবে।আগামী বছর আরও বেশি জমিতে চাষ করব।‘
কোচবিহার জেলার উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) গোপালচন্দ্র মান বলেন, রূপমবাবু নিত্যনতুন বিভিন্ন ধরনের চাষ করে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করে থাকেন। এতে কৃষকদের মধ্যে প্রথাগত চাষের বাইরে নতুন কিছু চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এই লম্বা লাউ চাষ কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গে এর আগে হয়েছে কিনা জানা নেই।