সানি সরকার, শিলিগুড়ি: ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে দু’দফায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) । ৬ মার্চ বারাসতে তাঁর সভা প্রায় নিশ্চিত। আর ৯ মার্চ কাওয়াখালিতে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের (Expansion) কাজের সূচনার পাশাপাশি রেল এবং সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং নতুন কিছু প্রকল্প ঘোষণা করবেন তিনি। ফলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাঁর তিনবার বঙ্গ সফর নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই বাংলার রাজনীতিতে। সরকারি প্রকল্পের আড়ালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকার ক্ষেত্রে যে উত্তরবঙ্গে বিশেষ নজর রয়েছে বিজেপির, তা মোদির চটজলদি এমন সফরে স্পষ্ট। এদিকে, ওই সভা ঘিরে বিজেপির তৎপরতা তুঙ্গে।
সভার জন্য সোমবার কাওয়াখালির মাঠ পরিদর্শন করেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি এবং প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সরকারি প্রকল্পে যোগ দেবেন এবং পরে রাজনৈতিক সভায় ভাষণ দেবেন। এর জন্য কাওয়াখালির মাঠে দুটি মঞ্চ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজু বিস্ট বলেন, ‘সমস্ত প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি। ৯ মার্চ কাওয়াখালিতে ঐতিহাসিক সভা হবে।’
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে ফের বাংলা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ঘনঘন সফরে স্পষ্ট, এককভাবে ৩৭০ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাকে এবার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেকারণেই বারাসতের সভার তিনদিনের মাথায় শিলিগুড়িতে আসছেন মোদি। যদিও প্রথমে ঠিক হয়েছিল তিনি ৩ মার্চ বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজের সূচনা করবেন। কিন্তু সন্দেশখালির মতো ইস্যু হঠাৎ চলে আসায় দক্ষিণবঙ্গে নজর ঘোরাতে হয় বিজেপিকে। এবার নজর উত্তরে। কাওয়াখালির সভাটি দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার জন্য। পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় বেশ কয়েকটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডলের কথায়, ‘উত্তরবঙ্গের বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যে দিয়ে উত্তরবঙ্গ নতুন দিশা দেখবে। বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস তাঁর হাতে হবে।’
বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ৯ মার্চ রাঙ্গাপানির রেলওয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ, ফুলবাড়ি সীমান্ত থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ফোর লেন রাস্তার কাজের সূচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাহাড়ের ১১টি জনজাতিকে উপজাতি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে মোদি কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।
দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন আসছেন, তখন পাহাড়ের জন্য কিছু ভালো খবর তো থাকবেই।’