উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ধর্ণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কার অনুমতিতে তৃণমূলের ধর্ণা চলছে তা জানতে রাজ্যের মুখ্যসচীবের কৈফিয়ত তলব করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে রাজভবন থেকে চিঠি গেল মুখ্যসচীবের দপ্তরে।
দার্জিলিং সফর শেষ করে রবিবার বিকেলেই কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দার্জিলিংয়ে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদীপ মজুমদার, মহুয়া মৈত্র। তাঁদের রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছিন, কলকাতায় ফিরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। এর মাঝেই রাজভবনের সামনে তৃণমূলের ধর্ণা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। তৃণমূলের ধর্ণা নিয়ে কলকাতা ফেরার আগেই রাজভবনের তরফে একটি চিঠি গেল মুখ্যসচিবের কাছে। সেখানে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি নিয়ে তোলা হয়েছে একাধিক প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, আইনের একাধিক ধারা তুলে রাজভবনের পাঠানো চিঠিতে মুখ্যসচীবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজভবনের সামনে তৃণমূলকে ধর্না করার অনুমতি কে দিল? যেহেতু রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কীভাবে ধর্না মঞ্চ বাঁধল তৃণমূল? এইসব প্রশ্নের জবাব মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর। রাজভবন চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছে, ধর্না মঞ্চ সরাতে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এখানে কি কোনও আইন ভাঙা হয়েছে? সবকিছুই অবিলম্বে রাজভবনকে জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, রাজভবনের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন যে, রাজ্যপাল যদি সোমবারের মধ্যে এই ধর্না নিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেন, তবে তাঁরাও রাজভবন অভিযান করবেন। দেখা গেল, বিজেপির এই হুঁশিয়ারির মধ্যেই রাজভবন চিঠি দিল মুখ্যসচিবকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, এতদিন তো রাজ্যপাল এই ধর্না কর্মসূচি নিয়ে কিছু বলেলনি। শুভেন্দু-সুকান্তর কথার পরই তিনি চিঠি লিখলেন। বোঝাই যাচ্ছে বিজেপির কথাতেই চলছেন রাজ্যপাল।