উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ তাহলে কি শাসকের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়েছে? পঞ্চায়েত ভোটের কিছু আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব হতেই এমনই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস দেখেছে বাংলা। ভোটের দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এর মধ্যে ৯ জনই তৃণমূলের। সন্ত্রাসের আবহে এই নির্বাচনে ভোটদানের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ভোট বাতিলের দাবি করেছে বিজেপিসহ একাধিক বিরোধী দল। এবার রাজ্যের একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব হল তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, বিরোধীদের সন্ত্রাসে বেশ কিছু বুথে ভোট দিতে পারেনি সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ছাপ্পার অভিযোগ এনেছেন। সেই সব খতিয়ে দেখে দলের তরফে পুনর্নির্বাচন দাবি করা হবে। তবে কোন কোন জায়গায় পুনর্নির্বাচন চাইবে দল তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন তৃণমূলেরই এক মুখপাত্র। এই মন্তব্যের পরই বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের ধারনা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল। সেকথা অনুমান করেই আগে থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ চাপিয়ে রাখছে শাসকদল।
বিরোধীদের বক্তব্য, যে রাজ্যে শাসকদলের নেতার নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দিতে দেখা যায় পুলিশকে, যেখানে খোদ প্রিসাইডিং অফিসারকে ছাপ্পা দিতে দেখা যায়, সেখানেও কি হারের আশঙ্কা করছে তৃণমূল?