মালদাঃ শুক্রবার দুপুরে মালদায় মহানন্দা সেতুর ওপর থেকে মহানন্দা নদীতে ঝাঁপ দিলেন এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধুর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি এখনও। নিখোঁজ ওই গৃহবধূর নাম শম্পা খাতুন (২৩)। বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুসলিমপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। স্পিড বোটের মাধ্যমে নদীতে চলছে জোর তল্লাশি। যদিও খবর লেখা পর্যন্ত এখনো ওই গৃহবধূর খোঁজ মেলেনি। স্বামীর সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে বিবাদের কারণেই শম্পা এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনুমান পরিবারের।
জানা গিয়েছে, শম্পার স্বামীর নাম মুজিবর শেখ। বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুরের কেচাহি এলাকায়। বেড়াতে গিয়ে শম্পার সঙ্গে মুজিবর শেখের পরিচয় হয় এবং সেখান থেকে তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিন মাস আগে তারা বাড়ির লোককে না জানিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর শম্পা জানতে পারে মুজিবরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। ভালোবাসার ফাঁদে সে তার প্রথম বিবাহ লুকিয়ে রেখে তাকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বচসার সূত্রপাত। শম্পার ভরণ পোষণের জন্য খরচা বাবদ ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে মুজিবর শেখ। তারপর সম্পাকে নিয়ে মুজিবুর ইংরেজবাজার থানার কেচাহি যদুপুর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে রাখে। শুক্রবার মুজিবরের ভরণপোষণ বাবদ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো শম্পার বাবার বাড়ির লোকেরা মুজিবুরের বাড়ি যাচ্ছিল। হঠাৎই শম্পার পরিবারের মোবাইল ফোনে অন্য এক যুবকের সঙ্গে শম্পার ছবি পাঠাতে শুরু করে মুজিবর। এই বিষয়ে শম্পার বাবা ভাইরা তাকে জিজ্ঞাসা করে। শম্পা জানাই সে অন্য যুবকের সঙ্গে তার ছবি তুলে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে যাতে ভরণপোষণের টাকা দিতে না হয়। আর এই মিথ্যা অপবাদ সহ্য করতে না পেরে সাহাপুরের দ্বিতীয় মহানন্দা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে শম্পা।
শম্পার দাদা ইনসাল আলী বলেন, “আমরা মুজিবুরের নামে ইংরেজ বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ওর এই অপবাদেই আমার বোন মহানন্দায় মরণ ঝাঁপ দিল। বোন তো আর বেঁচে নেই বুঝতেই পারছি। দেহ এখনও পায়নি। মুজিবুরের শাস্তি চাই।”