উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মাথার দাম ছিল ১৪ লক্ষ। ৩ রাজ্যের পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল এই মাওবাদি জঙ্গি মাধবি হিদমা। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে অবশেষে মৃত্যু হল হিদমার। মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জেলার এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা জানিয়েছেন পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রধান মাধবি হিদমা ওরফে চৈতুর বয়স ৩০ বছরের আশপাশে। আদতে ছত্তিশগড়ের মানুষ। সুকমার পূর্বতী নামে একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম। আর্থিক অনটনের মাঝেও টেনেটুনে দশম শ্রেণি অবধি পড়েছিল হিদমা। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির জেরেই মাওবাদী নেতাদের নজর কেড়েছিল সে। মাওবাদী সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেতেই তা গ্রহণ করে নেয় হিদমা। আইনের চোখে ধীরে ধীরে অপরাধী পরিণত হলেও, তাঁকে পিছন ফিরে দেখতে হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই সে মাওবাদী মিলিটারি অপারেশন ও গেরিলা ওয়েলফেয়ারের প্রধান কুশলী হয়ে ওঠে।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বালাঘাট জেলার গাঢি থানার খামখোদ্দার জঙ্গল এলাকায় রাজ্য পুলিশের হক ফোর্সের সঙ্গে হিদমা ও তার বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষেই হিদমার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর একাধিক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় হিদমার নাম উঠে এসেছিল। বাধ্য হয়েই মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড় তিন রাজ্যই যৌথভাবে তাঁর মাথার দাম ১৪ লক্ষ টাকা ধার্য্য করে। এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, স্পেশাল জোনাল কমিটি মেম্বার রাজেশ ওরফে দামার ঘনিষ্ঠ ছিল হিদমা। গোন্ডিয়া-রাজনন্দগাঁও-বালাঘাট এলাকায় মূলত সক্রিয় ছিল সে। হিদমার ভাই সিতু মাদকামও নকশালপন্থী। মাওবাদী বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে কাজ করে সে। হিদমার মৃত্যুকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এখনও পর্যন্ত ২০২৩ সালে নকশালপন্থীদের বিরুদ্ধে ৩টি বড় সাফল্য এসেছে পুলিশের। যাতে যাতে ৪ বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন মহিলা।