মাথাভাঙ্গা: পুজোর আগে মাথাভাঙ্গা শহরের ইমিগ্রেশন রোডের ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিতর্কে মাথাভাঙ্গা পুরসভা। সাধারণ ব্যবসায়ী এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি খোদ শাসক দলের মাথাভাঙ্গা শহর নেতৃত্বও জানিয়ে দেন, পুজোর মাত্র ১৫ দিন আগে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ুক, এমন কোনও অভিযানে তাঁদের সায় নেই। ফলে অভিযান শুরু করলেও রাস্তার ধারে ফুটপাথের ওপর গুটিকয়েক শেড খুলে নেওয়া ও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে তাঁদের শেড খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছাড়া এদিনের অভিযানে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শহরের ফুটপাথ জবরদখলকারীদের কবজায় চলে যাওয়া এবং সেখানে স্থায়ী নির্মাণ হলেও তা দেখেও না দেখার ভান করছে পুরসভা। পাশাপাশি গুটিকয়েক দুস্থ মানুষ যাঁরা ফুটপাথে অস্থায়ী দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তাঁদের টার্গেট করছে পুরসভা। পুরসভার এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সহ শহরবাসীর একাংশ।
শহরের শিববাড়ি থেকে নৃপেন্দ্রনারায়ণ লাইব্রেরি পর্যন্ত ইমিগ্রেশন রোডের দু’ধারে বাম আমলে রেলিং দিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য কংক্রিটের ফুটপাথ তৈরি করেছিল পুরসভা। আবার বাম আমলেই সেই ফুটপাথে ব্যবসায়ীদের বসতে দিয়ে তাঁদের থেকে ট্যাক্স আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুরসভার ক্ষমতা বামেদের থেকে তৃণমূলে হস্তান্তরিত হওয়ার পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। শহরবাসীর অভিযোগ, যেখানে পুরসভার তৈরি করা ফুটপাথই পুরসভা দখলমুক্ত করতে পারে না, সেক্ষেত্রে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার নামে এধরনের অভিযান লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক জানিয়েছেন, ফুটপাথের ওপর থেকে কয়েকটি শেড খুলে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের খুলতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা খোলেননি। তিনি আরও জানান, পুজোর আগে আর অভিযান হবে না। তবে পুজোর পরে ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হবে।