উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হিংসা বরদাস্ত নয়, পুলিশকে কড়া হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরামর্শের সুরে বিরোধীদের উদ্দেশে বললেন, “যখন হেরেছেন হারটা মেনে নিন না। মেনে নিয়ে মানুষকে বলুন আমরা কৃতজ্ঞ।”
নির্বাচনী প্রচার সেরে কলকাতা ফেরার পথে কপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারও হয়। কিছুটা সুস্থ হতেই এদিন নবান্নে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে হিংসা ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় ৯৩ শতাংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। ওখানে যারা গিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেককে আক্রমণ করা হয়েছে। অসমেও করা হয়েছে। সেখানে এরাজ্যে আমাদের ছেলেরা গোলাপ ফুল নিয়ে গিয়েছে, না হলে এত নমিনেশন করতে পারতো না। আজকে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। আমি আবার সবাইকে বলব, ভেবে দেখুন। এত দাম্ভিকতা মানুষকে মানায় না।
বস্তুত, ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারের পঞ্চায়েত ভোটে(West Bengal Panchayat Election 2023 Result) বিরোধীরাও বিপুল সংখ্যক আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে শাসকের পাশাপাশি আসন বেড়েছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেদেরও। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীরা যে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব, সেই প্রসঙ্গেই গোলাপ ফুলের উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, তৃণমূল সন্ত্রাস করলে এত সংখ্যক আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন করতে পারতো না।
তিনি আরও বলেন, “আমরা কিন্তু আজ ভোর ছ’টা পর্যন্ত ঘুমাইনি। পাহারা দিয়েছি। আমার ডিএম, এসপি রা পাহারা দিয়েছে। ভোরবেলায় অভিষেক আমাকে বলে দিদি ঘুমাতে যাও। প্রশ্ন তুলেছেন, আপনারা আমায় দেখান তো কোনো নির্বাচনের পর সাতশোর বেশি এলাকায় রি-পোল হয়েছে? ভাঙড়ের ঘটনা ছাড়া আর কোথাও কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরেও বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমি তো গিনিপিগ নই, যে আপনারা আমাকে গিনিপিগ করে ফেলবেন। আমি দুঃখিত, কয়েকজন মারা গিয়েছে বলে। আপনারা দেখবেন যে জায়গাগুলোতে এগুলো হয়েছে সেখানে চিরাচরিতভাবে গন্ডগোল হয়ে আসছে। বড় জোর ৬০টা বুথে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। ৬০ হাজারের বেশি বুথে ভোট হয়েছে। তবু পুরো ঘটনাকে গিরে গেল গেল রব তোলা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী ভাঙড়ের অশান্তি প্রসঙ্গে টেনে দাবি করেছেন, আরাবুল তো হেরে গেছে। কিন্তু ওর হারাটা হারা নয়। একটা দুটো সিট হারা আমার কাছে ব্যাপার নয়। আশি হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তারপরও ভাঙড়ে কাল রাতে গন্ডগোল হল। বাইরে থেকে বোমা এনে জড়ো করে রাখা হয়েছিল একটা স্কুলের মধ্যে।
: