রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ ব্লকের পানিশালা গ্রামে বেড়ে গিয়েছে মাদকাসক্তদের উপদ্রব। সেই সঙ্গে সেই এলাকায় বেড়ে গিয়েছে চুরি-ছিনতাই। এলাকায় নেশার ঠেক বন্ধের দাবি তুলতেই নেশার কারবারীদের রোষের মুখে পড়লেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই প্রতিবাদী যুবকের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে বাড়িতে লুটপাট চালায় তারা। এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে শীতগ্রাম এলাকায় নেশার ঠেকের প্রতিবাদ করেন মীর কামাল আলি নামে এলাকারই এক যুবক। রাতেই তার বাড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ চালায় দুস্কৃতিরা। ঘরে ঢুকে লুঠপাট চালিয়ে বেশ কিছু সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। মারধর করে পরিবারের সদস্যদের। যদিও দাদা মীর কামাল আলিকে বাড়িতে পাননি দুস্কৃতীরা। কামালের ভাই মীর মোস্তাক বলেন, “আমরা যখন রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম সেই সময় দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। দরজা খুলতেই চার-পাঁচ জন ঘরে ঢুকে পড়ে। আমার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। আমার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলের গলায় চাকু ঠেকিয়ে ঘরে লুঠপাট চালায়। সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।”
মোস্তাক আরও বলেন, আমাদের উপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে। কাউকে চিনতে পারিনি। দাদা নেশার ঠেকের প্রতিবাদ করাতেই এই আক্রমণ আমাদের উপর। অন্যদিকে, দাদা মীর কামাল আলি জানান, এই গ্রামে বেশ কিছু মানুষ নেশা করে ঘুরে বেড়ায়। আমি এর প্রতিবাদ করি। সেকারনে এই আক্রমণ। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটে। আমার দরজা খুলতে পারেনি বলে আমাকে মারধর করতে পারেনি। প্রশাসনের উচিৎ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মীর আলি নেশার ঠেকের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।