উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির সংশোধনী বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে গত শুক্রবার। এদিন ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল (সংশোধনী) বিল ২০২৩’ পাশ হল ১২০-৫১ ভোটে। বিধানসভায় পাশ হওয়া এই বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে। এই বিলে যাতে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করেন, সেই কারণে বিজেপি বিধায়করা গিয়েছিলেন রাজভবনে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনের সংশোধনী বিল নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘রাজভবনের ফ্রিজে থাকবে সার্চ কমিটির বিল। আমরা ক্ষমতায় এসে ওটা ছিঁড়ে ফেলব’।
রবিবার বাগডোগরায় নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করতে সার্চ কমিটি সংক্রান্ত সংশোধনী বিল ফ্রিজে থাকবে। মহামান্য রাজ্যপালের কাছে আমাদের বিধায়করা গিয়েছিলেন। রাজ্যপাল বলেছেন, ওনার অনেকগুলো ফ্রিজ আছে। উনি একটা ভালো ফ্রিজে ওটা রেখে দেবেন। ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হওয়ার পর আমরা বাইরে বের করে ছিঁড়ে ফেলব’।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিলে রাজ্যপালের অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। মদত পেয়েছে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ। বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানান, রাজ্যপাল জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কল্যাণে যা করার তিনি করবেন। তবে বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হবে কি না তা নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় ছিল। রবিবার শুভেন্দুবাবু জানালেন, ফ্রিজে থাকবে বিলটি। তবে রাজ্যপালের তরফে এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২২ সালে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসানো সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি। তার পর কয়েক মাস অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গনেশনও ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বে। গত বছর নভেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তাতেও সেই বিল অনুমোদন পায়নি। তাই উপাচার্য নিয়োগের জন্য আনা সার্চ কমিটি সংক্রান্ত বিল আদৌ রাজভবনের অনুমোদন পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।