উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে নবরূপে সাজছে সারা দেশের ৫০৮টি স্টেশন। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গ ও লাগোয়া বিহারের বেশ কয়েকটি স্টেশন। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি সবকটি স্টেশনের মানোন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মালদার সামসী স্টেশনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই স্টেশনটি অমৃত ভারত স্টেশন হিসেবে নির্বাচিত খুশি এলাকার মানুষ। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু, কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম ভি কে চৌধরী, সামসী স্টেশন ম্যানেজার মনোজ কুমার ঠাকুর সহ এলাকার ব্যবসায়ি ও বুদ্ধিজীবী মহল।
কিশনগঞ্জ রেলস্টেশনে রবিবার নির্ধারিত সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি ৪২ কোটি টাকার বেশী ব্যয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিল্যান্যাস করেন। অপরদিকে ঠাকুরগঞ্জ রেলস্টেশনটিও একইভাবে ২৭ কোটি আট লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে সাজানো হবে।
দিনহাটা রেলস্টেশনের ক্ষেত্রেও আধুনিকীকরণের কাজের ভার্চুয়াল সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ, নিশীথ প্রামাণিক জানান, এই এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখে এই রেল ষ্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে দিনহাটা থেকে দূর পাল্লার ট্রেন চালানো হবে।
ডুয়ার্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন নিউ মাল জংশনকেও অমৃত ভারত প্রকল্পে বাছাই করা হয়েছে। এদিনের এই উপলক্ষ্যে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত রায়, পদ্মশ্রী করিমুল হক, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা এবং রেলের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা। এদিন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আওতায় ১৫টি রেল স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজের সূচনা করা হয়। এই স্টেশনের আধুনিকীকরণে পর্যটন মানচিত্রে স্টেশনের ভূমিকা আরও গুরুত্ব পাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।