উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য তোলপাড় কামদুনি কান্ডের রায়দান ঘোষণার পর থেকেই।নির্যাতিতার পরিবার, পরিজনেরা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল রায় শুনে।এবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সুত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় কামদুনি কাণ্ডে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা লঘু করা হচ্ছে। আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে তাদের। এমনকি নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকেও খালাস করে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু তারা ১০ বছর জেল খেটে ফেলেছেন, সেই জন্যে তাদের খালাস করে দেওয়া হয় হচ্ছে বলে জানানো হয়।’
এই রায়দানের পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ।নির্যাতিতার ভাই হয়ে পড়েন অসুস্থ।কামদুনি কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করা স্থানীয় মহিলা মৌসুমী, টুম্পারা ভেঙে পড়েন কান্নায়।তাঁরা জানান এই রায়ে খুশি নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ জুন, উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।ধর্ষণ করার পর তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তখন উত্তাল হয়ে ওঠেছিল গোটা রাজ্য। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মতবিরোধ ও আলোচনা।এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাঁদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে কামদুনি গ্রামের মানুষজন। মৌসুমী, টুম্পা সহ একাধিক গ্রামের মহিলারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই আন্দোলনে। তাঁদের আন্দোলনকে বিফল করে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কামদুনি কাণ্ডের রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট।