রায়গঞ্জঃ নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবারকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা৷ এই হুমকির পরই আতঙ্কে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনাটি রায়গঞ্জ থানার অধীন বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের রুপাহার এলাকার।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের রুপাহার এলাকার এক যুবক দীপক রায়ের সঙ্গে ১৪ বছরের এক নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠায় নাবালিক অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপরই নাবালিকার গর্ভপাত করার জন্য যুবক ওষুধ খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই ওষুধ খেয়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারে নাবালিকার পরিবার। এরপরই নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযুক্ত যুবক দীপক রায়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ও ধর্ষণের মামলা রুজু করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত যুবক। দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর গোপন আস্থানা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে ওই যুবক রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে রয়েছে।
এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা। নির্যাততার মা জানান, গতকাল বিভিন্ন সময়ে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। মামলা না তুললে মেয়েকে ফের গণধর্ষণ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তের বাবা দীনবন্ধু রায় ও তার পরিবার। এদিন রাতে ভাড়াটে গুণ্ডাদের দিয়ে বাড়িতে হামলা চালায় তারা। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারে বারে চাপ সৃষ্টি করছে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তাই আতঙ্কে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছি।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত নির্যাতিতা নাবালিকাও। তার বক্তব্য, ‘আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি। পুজোর ছুটি শেষ হলে স্কুল খুলবে। আমি স্কুলে গেলে নাকি আমাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করবে। প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাই সেখানেও আমাকে আতঙ্কে থাকতে হয়। সেই কারণেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’ জেলা পুলিশ সুপার মহন্মদ সানা আক্তার বলেন,“অভিযোগ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”