উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১১ নভেম্বর থেকেই উত্তরকাশীর অন্ধকার সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। প্রতি মুহূর্তে ছিল তাঁদের প্রাণ হারানোর আশঙ্কা। সেই সঙ্গে ছিল নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। প্রায় ৪০০ ঘন্টা পর তাঁদের অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করে আনলেন উদ্ধারকারী দল। সুড়ঙ্গ থেকে ধ্বংসস্তুপ সরাতে বিকল হয়েছে একের পর যন্ত্র। ব্যর্থ হয়েছে একের পর এক পরিকল্পনা। অবশেষে র্যাট মাইনিং পদ্ধতিতে যন্ত্রের বদলে শাবল কোদাল দিয়ে মাটি কেটেই উদ্ধারকারীরা উদ্ধার করে নিয়ে আসলেন ৪১ শ্রমিককে। টানা ১৭ দিন কীভাবে দিন কেটেছে এই শ্রমিকদের?
জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে আগেই পাঠানো হয়েছিল বিশেষ ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার সাহায্যেই আটকে থাকা শ্রমিকদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখা হচ্ছিল। শ্রমিকদের জন্য সময়ে সময়ে খাবার সরবরাহ করে হয়েছে পাইপের সাহায্যে। ২৪ ঘন্টাই সরবরাহ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন। সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল টেলিফোনের ল্যান্ড লাইন। সেই ফোনের সাহায্যেই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে শ্রমিকরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে। প্রতিদিনই দুবেলা রোল কলের মতোই নাম ডেকে করা হয়েছে রোল কল। আলাদা আলাদা ভাবে প্রত্যেকের কী কী প্রয়োজন রয়েছে, শরীরে কোনও সমস্যা হচ্ছে কী না তা জেনে নিতেন উত্তরাকাশী প্রশাসন। একইসঙ্গে বাইরে থেকেই করা হয়েছিল কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে শ্রমিকরা চেয়ে নিয়েছেন নেল কাটার, কয়েকজন খেলার সামগ্রী চেয়েছিলেন। তাঁদেরকে লুডো, তাসও পাঠানো হয়। অর্থাৎ, প্রতিমুহূর্তে তাঁদের প্রয়োজন মিটিয়েছেন প্রশাসন।