উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলে মঙ্গল। ১৭ দিনের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হল। এদিন সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে প্রথমে বের করে আনা হয় ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো নামে একজনকে। এরপর আনা হয় দশজন শ্রমিককে। এভাবে একে একে আটকে পড়া সব শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। রাস ৮টা ৩৮ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয় কাজ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
আটকে পড়া এই শ্রমিকদের মধ্যে বাংলার তিন শ্রমিকও ছিলেন। সকলেই সুস্থ রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা জানান, শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তাঁরা পুরোপুরি সুস্থ আছেন। আপাতত তাঁদের বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিন প্রথম শ্রমিককে বের করে আনার পরই উল্লাস শুরু হয়ে যায় এলাকায়। ফাটতে শুরু করে বাজি। ঘনঘন স্লোগান ওঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’।
সম্প্রতি, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে নির্মীয়মাণ টানেলে দুর্ঘটনা ঘটে। টানেলটির নির্মাণকাজ চলছিল। বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। সেইসময় আচমকাই সুড়ঙ্গের কাঠামো ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলার ৩ জন শ্রমিক ছিলেন। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দল, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সেই থেকে উদ্ধারকাজ চলছিল। উদ্ধার করার আগে পর্যন্ত সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে অনবরত যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা চলছিল। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।উৎকন্ঠায় দিন গুণছিলেন শ্রমিকদের পরিবার-পরিজনেরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের বিষয়ে অনবরত খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ধামিকে একাধিকবার ফোন করেছেন। ১৭ দিনের টানটান স্নায়ুর লড়াই শেষে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেন শ্রমিকরা।