কিশনগঞ্জ: কিশনগঞ্জের নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন কানহাইয়া জি স্তূপ বা টিলার পাশের একটি জমি থেকে তিনটি অতি প্রাচীন শ্রী বিষ্ণুর, বিষ্ণু বাহন গরুর ও লক্ষ্মী দেবীর কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মাটি খুঁড়ে ওই তিনটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পরই প্রাচীন মূর্তিগুলি পোয়াখালী থানার পুলিশ মহকুমা শাসক অমিতাভ কুমার গুপ্তার নির্দেশে রাতে হেপাজতে নেয়। মূর্তিগুলি উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে ভারত ও নেপালের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে। তিনটি মূর্তি পরিষ্কারের পরে গ্রামবাসীরা পুজো অর্চনাও শুরু করেছে।
ওই অঞ্চলের প্রবীণদের বক্তব্য, কানহাইয়া জি স্তূপের উপর বর্তমানে যে প্রাচীন বিষ্ণু মন্দিরটি রয়েছে। সেটা ছাড়াও ছোট কানহাইয়া জি স্তূপে আরেকটি মন্দির ছিল। এই তিনটি মূর্তি সেই মন্দিরেই ছিল। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়। আর মূর্তিগুলি মাটি চাপা পড়ে যায়। এবার দৈবলীলায় সেই মূর্তিগুলি পাওয়া গিয়েছে। আমরা সেখানে নতুন মন্দির নির্মাণ করে, আবার মূর্তিগুলি বসাব।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত গ্রামবাসীরা কোনভাবেই তিনটি মূর্তি পুলিশের হেপাজতে দেয়নি। ব্যাপক বিবাদের পরে পুলিশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে চুক্তি করে তিনটি মূর্তি হেপাজতে নেয়। বর্তমানে তিনটি মূর্তি বর্তমানে কানহাইয়া জি স্তূপের উপর বিষ্ণু মন্দিরে রাখা হয়েছে। মহা ধুমধামে পুজো অর্চনা চলছে। পোয়াখালী থানার অতিরিক্ত ওসি বিকাশ প্রসাদ জানান, গ্রামবাসীদের ভক্তি ও আস্থার মর্যাদা রাখার জন্য পুলিশ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। গণ স্বাক্ষরিত সালিশি পত্রে বলা হয়েছে, পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ চাইলে তিনটি মূর্তি তাদের হেপাজতে তুলে দিতে হবে। বুধবার মহকুমা শাসক অমিতাভ কুমার গুপ্তার বক্তব্য, প্রশাসন সত্বর বিশেষ পদক্ষেপ নেবে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে ব্যাপকভাবে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।