দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী আলি ইমরান রমজের হয়ে প্রচারে অনিহা ফরওয়ার্ড ব্লকের। না চোখে পড়েছে পোস্টার না ফেস্টুন। জেলা নেতৃত্বের কথায়, আসন্ন লোকসভা ভোটে ফ্রন্টের ‘বড়দা’ সিপিএম কটি আসন ছাড়বে, সেটা স্পষ্ট হওয়ার পর তারা রমজের হয়ে প্রচারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই ছবিটা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত জেলা নেতৃত্ব জোট প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে নামবে না। শুধু ফরওয়ার্ড ব্লক নয়, ফ্রন্ট শরিক সিপিআই ও আরএসপি-র কোনও নেতা-কর্মী সমর্থকদেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ফ্রন্ট চেয়ারম্যান সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থী ঘোষণা করতে গিয়ে জানান, তারা যেখানে প্রার্থী দিতে পারবে না বা দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালাতে হবে। সর্বশক্তি দিয়ে ফ্রন্টের সব শরিক দলকে মাঠে নামতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি ও তার দোসর তৃণমূলকে যে কোনও মূল্যে পরাজিত করতে হবে।
জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক গোকুল বিহারী রায়ের দাবি, ‘আসন্ন লোকসভা ভোটে কোন কোন আসন আমাদের দেওয়া হচ্ছে বা আমরা প্রার্থী দিতে পারব, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট বার্তা পেলে কর্মীরা প্রচারে ঝাঁপাবেন। আমাদের বরাদ্দ আসনে কংগ্রেস এবং আইএসএফ প্রার্থী দিয়ে দিচ্ছে। জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু শরিকদের কথা শোনা হচ্ছে না।‘
রায়গঞ্জে ভিক্টরের হয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রচারে নামবে বলে আশাবাদী জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, ‘আমাদের প্রার্থীর প্রচারে নামবে সিপিএম ও ফ্রন্টের অন্য শরিকরা।‘
ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লেখা শুরু করে দিয়েছেন সিপিএমের কর্মীরা। দলের জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির হয়েই আমাদের কর্মীরা লড়াইয়ের ময়দানে নামতে প্রস্তুত। কর্মীরা দেওয়াল লেখার কাজও শুরু করেছেন। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে রাজ্য নেতৃত্ব সেটা সমাধান করবে।’
কংগ্রেস ভিক্টরকে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হিসেবে দাবি করায় কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘একমাত্র তৃণমূল বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে টানা লড়াই করছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যাঁর যেখানে শক্তি, বিজেপির বিরুদ্ধে সে সেখানে লড়াই করুক। তারপরে কী ঘটেছে, সেটাও মানুষ জানেন। তাই বামফ্রন্টের শরিকেরা কেউ নেই।’