রায়গঞ্জ: নির্বাচনের প্রশিক্ষণে গরহাজির থাকছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ অন্যান্যদের একাংশ। বারবার প্রশিক্ষণের জন্য মেসেজ, চিঠি ও শোকজ করেও তাঁদের সাড়া মিলছে না। তাই এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৩ মার্চ প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের জন্য এবং ২৪ মার্চ সেকেন্ড পোলিং অফিসার ও থার্ড পোলিং অফিসারদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ২৮ মার্চ মপ আপ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ইভিএমের সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসার এবং ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের সম্পূর্ণ সড়োগড়ো করার জন্য আজ করা হয় হ্যান্ডস অন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গরহাজিরার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলার ২২১৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোটপ্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য এই প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। অথচ কমিশনের নির্দেশিকা মেনে এত পর্যায়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা সত্ত্বেও কিছু পোলিং পার্সোনাল নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত থাকছেন। তাদের নিয়ে অসন্তুষ্ট জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্বে অনুপস্থিত সমস্ত পোলিং পার্সোনালদের জন্য আগামী ৩ এপ্রিল আরও একবার মপ আপ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। যেসব পোলিং পার্সোনাল একবারও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেননি, তাঁদের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ।
জেলা শাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা সাফ জানিয়েছেন, ‘এই পর্যায়ে নির্দেশ অমান্য করে প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকলে রিপ্রেজেন্টেসন অফ পিপলস অ্যাক্ট, ১৯৫১-এর ধারা ২৮এ বা ধারা ১৩৪ অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবেন না তাঁরা।