প্রসেনজিৎ সাহা,দিনহাটা: বছর ছয়েক আগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের জলকষ্ট মেটাতে শহরের পৃথক তিনটি স্থানে বসানো হয়েছিল তিনটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। মূলত জল সরবরাহে গতি আনতে সে সময় এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হয়। কিন্তু সেই পাম্প বসানোর ছয় বছর পরেও দিনহাটা পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে জলকষ্টের ছবিটা একই রয়ে গিয়েছে।
দিনহাটা পুরসভার ১, ২, ৭, ৪, ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে রাস্তার টাইমকলে যেমন জল আসে না, তেমনি বাড়ি বাড়ি দেওয়া লাইনেও জল আসে না।অন্যদিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে তো এখনও পানীয় জলের লাইনই বসানো যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই পানীয় জল না পেয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এদিন দিনহাটার ২, ৭ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা দিয়ে যেতেই নজরে পড়ল একাধিক টাইমকল ভেঙে হেলে রয়েছে। কোথাও আবার বাড়িতে থাকা টাইমকলে বেলা দুটো বাজলেও জলের দেখা নেই। বাসিন্দাদের কথায়, কমবেশি সকলেই পুরসভার টাইমকলে আসা জলকে পানীয় জল হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু পানীয় জল সরবরাহ আজও স্বাভাবিক না হওয়ায় সেক্ষেত্রে জল কিনে খেতে হচ্ছে।শহরের বাসিন্দা রীতা সাহার কথায়, ‘এখনও বাড়িতে পানীয় জলের লাইন আসেনি। দূর থেকে জল এনে খেতে হয়।’ যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরীর কথায়, ‘পুরসভা চেষ্টা করছে বিভিন্ন স্থানের পাইপ সারাই করে জল সরবরাহকে স্বাভাবিক করার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
তবে পুরবাসীর পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস। তাঁর কথায়, ‘আগে দিনে তিনবার করে টাইমকলে জল আসত। এখন সকাল সাতটা আর দুপুর দুটো- এই দু’বেলা শুধুমাত্র জল আসে। তবু শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি সেই পানীয় জলটুকু ঠিকমতো পৌঁছায়ই না। বর্তমান পুরসভা আসলে নাগরিক পরিষেবা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।’
সমস্যায় বাসিন্দারা বছর ছয়েক আগে শহরের তিন জায়গায় তিনটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসে। তার পরেও ১, ২, ৭, ৪, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে টাইমকলে জল আসে না। এইসব ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি দেওয়া পাইপলাইনেও জল আসে না। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে এখনও পানীয় জলের লাইনই বসানো যায়নি।পানীয় জল না পেয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন এইসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা