নাগরাকাটা: প্রাথমিকের খুদে পড়ুয়াদের অঙ্ক ভীতি কাটাতে উদ্যোগ জলপাইগুড়ি জেলার তিন হাইস্কুলের অঙ্ক শিক্ষকের। গত বৃহস্পতিবার খেলার ছলে অঙ্ক শেখার এমনই একটি ক্লাস তাঁরা নিলেন নাগরাকাটার বনবস্তী ও চা বাগান ঘেরা ঘাসমারী স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে লাগোয়া ছাড়টন্ডু অ্যাডিশনাল প্রাথমিক স্কুল ও নাগরাকাটা হাইস্কুলের পড়ুয়ারাও অংশ নেয়। নতুন স্যারেদের কাছে অংক শেখার সহজ উপায় জানতে পেরে দারুণ খুশি স্কুলগুলির চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা। এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছে জেলার শিক্ষাকর্তারা।
ডিআই(প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, ‘অভিনব প্রয়াস। হাইস্কুলের মাস্টারমশাইদের কাছ থেকে আমাদের খুদেরাই শুধু উপকৃত হবে তা নয়। পাশাপাশি তাঁদের পড়ানোর কৌশল ও অঙ্কের নানা চ্যাপ্টারের শিক্ষাকরণের ব্যবহার জানতে পেরে প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন বলেই মনে করি।‘
যে শিক্ষকরা একাজে অগ্রসর হয়েছেন তাঁরা হলেন যথাক্রমে নাগরাকাটা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পিনাকি সরকার, জেলা সদরের সোনাউল্লা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক রাজেশ বণিক ও ময়নাগুড়ির ভুজারীপাড়া মোহরচাঁদ হাই স্কুলের অসিত সাহা। প্রত্যেকেরই অঙ্ক শিক্ষক হিসেবে জেলাজুড়ে নাম রয়েছে।
ওই শিক্ষকরা জানান, নিজেদের স্কুল করে ফাঁক পেলেই তাঁরা কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। নাগরাকাটা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পিনাকি সরকার নিজেও অঙ্কের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় একবার যদি বিষয়টির ওপর ভয়ভীতি চলে আসে তবে পরবর্তীতে তা কাটিয়ে তোলা ভীষণ শক্ত। সেকারণে প্রাথমিক স্তর থেকেই অঙ্কের ভিত মজবুত করা দরকার। এজন্য জয়ফুল লার্নিং বা মজার ছলে অঙ্ক শেখাতে পারলে খুদেরা যে খুব সহজেই তা রপ্ত করে নিতে পারে আমাদের অভিজ্ঞতা এমনই।‘ রাজেশ বণিক বলেন, ‘হতে পারে এদিন যাদের পড়িয়েছি তাঁরা প্রত্যন্ত এলাকার। তবে কারও শেখার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি দেখিনি। প্রত্যেকের কাছ থেকে দারুণ সাড়াও মিলেছে। এধরনের কাজ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যেতে চাই।‘ অসিত সাহা বলেন, ‘প্রতিভা প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে। শুধু দরকার উন্মেষে সাহায্য করা। এক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকা মস্ত বড়। সহজ সরল উপায়ে শেখাতে পারলে অঙ্ক যে খুব মজার বিষয় তা খুদে ছাত্র-ছাত্রীদের শরীরি ভাষাই এদিন বলে দিচ্ছিল।‘