সামসী: ছাপ্পা ভোটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়াই কাল হল। কংগ্রেস প্রার্থীকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক ছাপ্পা, কারচুপি ও ভোট লুট হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের এক পরাজিত প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন ওই কংগ্রেস প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মালতীপুর বিধানসভা এলাকার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহরাবাদ গ্রামে। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশি টহলদারি রয়েছে।
কংগ্রেসের চাঁচল-২ ব্লক সভাপতি সৈয়দ মাঞ্জারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাহারাবাদ ১০৩ নম্বর বুথের কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন আশরাফুল। আর তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন আশরাফুল আলম। কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুলের জয় এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ, ছাপ্পা ভোট করে সে জেতে। পরাজয় কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুল। তাই সুবিচারের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর কংগ্রেস প্রার্থী বাড়ি ফিরতেই তৃণমূল প্রার্থী আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একদল শাসকদলের দুষ্কৃতী তাঁকে ব্যাপক মারধর করে। এরপর স্থানীয়রা কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুলকে উদ্ধার করে মালতীপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কংগ্রেস প্রার্থী।
একদিকে যখন লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে এক টেবিলে বসে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাই কমান্ড, তখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এবিষয়ে মালতীপুরের বিধায়ক তথা শাসকদলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি জানান, হেরে গিয়ে এখন কংগ্রেস ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলছেন। তা ঠিক নয়। অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর কংগ্রেস প্রার্থীকে শাসকদলের কেউ মারধর করেনি। ওটা ওদের ঘরোয়া বিবাদ।