রায়গঞ্জ: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের নতুন বুথ কমিটি ঘিরে প্রকাশ্যে এল শাসকদলের কোন্দল। নতুন বুথ কমিটিতে দলবদলকারীরা প্রাধান্য পেয়েছে, এমন দাবি তুলে অঞ্চল ও ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এর আগে তোপ দেগেছিলেন পুরোনো তৃণমূল কর্মীরা। গত সোমবার সেই পরিস্থিতি চরম আকার নেয়। তৃণমূল কর্মীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হলেন বীরঘই অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৈলাস বর্মন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। দলের একাংশ নেতৃত্বের প্রতি কৈলাসবাবুর এতটাই ক্ষোভ জন্মেছে যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে দল ছাড়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন ব্লক সভাপতি অনিমেষ দেবনাথ মেডিকেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তবে এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম ও বিজেপি।
গতকাল বীরঘই অঞ্চলের ভূপালপুর সংসদের পীরের মাজারের পাশে বুথ কমিটি গঠনের জন্য সভা ডেকেছিল অঞ্চল নেতৃত্ব। সভা শেষ হতে না হতেই কৈলাস বর্মনের ওপর একদল তৃণমূল কর্মী ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তাকে লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে কৈলাসবাবুকে উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় রাতেই তাঁকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, অঞ্চল সভাপতি আলোচনা না করে নিজের লবির একজনকে বুথ সভাপতি করার পাশাপাশি ধর্ম নিয়ে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর উত্তেজনা শুরু হয়। এ বিষয়ে বীরঘই অঞ্চলের উপপ্রধান তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি রফিকুল আলম জানান, অঞ্চল সভাপতি বুথ কমিটি গঠন করতে এসেছিলেন তিনি জানতেন না। ওনার কিছু মন্তব্যের পরই তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।