রায়গঞ্জ: হুড খোলা জিপ নিয়ে কর্ণজোড়ায় মনোনয়ন দাখিল করতে মিছিল নিয়ে চলেছেন রায়গঞ্জ আসনের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। গাড়ির সামনে-পিছেনে তখন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। এই মিছিল দেখে তৃণমূল নেতৃত্ব যখন আপ্লুত, তখন ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ (Traffic jam) হয়ে পড়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Raiganj medical college & hospital) দুই মূল ফটকের সামনের রাস্তা। মেডিকেল কলেজের সামনে থেকেই র্যালি বের হয়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সেই যানজটে প্রায় ঘণ্টা তিনেক আটকে থাকল দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance)। গাড়ির ভিতরে অসুস্থ শিশু নিয়ে বিপদে পড়ে যান স্বজনরা।
মাতৃযানের চালক ঝরু বর্মন বলেন, ‘গাড়িতে সদ্যোজাত শিশু রয়েছে। শিশুটি খুব অসুস্থ। কিন্তু দু’ঘণ্টা ধরে যানজটে গাড়ি নিয়ে আটকে রয়েছি। শহরের রাস্তা, জাতীয় সড়ক, সবদিকে যানজট।’ আর একটি অ্যাম্বুল্যান্সে মেয়েকে নিয়ে বসেছিলেন রেজাউল হক। তিনি বলেন, ‘সদ্যোজাত শিশু ও মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি।’
বিএসএফের এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক মনপ্রীত সিং বলেন, ‘দীর্ঘ তিন ঘন্টা যাবৎ যানজটে আটকে রয়েছি। তীব্র যানজট ও ডিজের আওয়াজে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে তাঁকে কোলে করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হল।’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘আমরা রাস্তার একপাশ দিয়েই এসেছি। তবে যানজটের কারণে যদি জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তার বলেন, ‘নির্দিষ্ট রুট দিয়ে রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়ন জমা করেছে। তবে অন্য রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ আসায় জাতীয় সড়কে যানজট হয়ে থাকতে পারে। তবে ট্রাফিকের তরফে সব ব্যবস্থা ছিল। আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলির মনোনয়ন ঘিরে যাতে এই ঘটনা না ঘটে সেজন্য ট্রাফিককে সচেতন করে দিয়েছি।’