তুফানগঞ্জ: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল তুফানগঞ্জ কলেজে। ঘটনায় দু-পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।
কলেজ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) কলেজ ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি বাপ্পা রাভার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি মোটা টাকার বিনিময়ে এক ছাত্রকে কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এনিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিটের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সাগর বর্মন সহ বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানান।
সোমবার তাঁরা ফের একাধিক অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ঝামেলার সূত্রপাত। সংসদের ভিতরেই দুই পক্ষের মধ্যে চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। শেষে তা পৌঁছোয় কলেজ ক্যাম্পাসে। ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে। কয়েকজনের হাতে বাঁটুলও ছিল। মাথায় পাথর লেগে গুরুতর আহত হন সাইনুর হক নামে এক কলেজ ছাত্র। পরবর্তীতে তাঁকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিনের ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। কলেজের ছাত্র অরূপ সাহা বলেন, ‘সমস্ত ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই কলেজ ফাঁকা করে দেওয়া হয়। কোনও মতে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসি।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ভূপেন বর্মনের কথায়, ‘কলেজ চলাকালীন আচমকাই মারপিটের শব্দ শোনা যায়। বাইরে বেরিয়ে দেখি, কিছু ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাপ্পা রাভা সহ ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।’ এবিষয়ে বাপ্পার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) জেলা সভাপতি অনির্বাণ সরকারের বক্তব্য, ‘তুফানগঞ্জ কলেজের ইউনিট কমিটি ইতিপূর্বে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে সমর্থন করে না।’
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জেলা সংযোজক অমিত দত্ত। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পরিস্থিতি কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।’ কলেজে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ না ফিরলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।