রায়গঞ্জ: কার ভালোবাসার গভীরতা কতটা? কে কার জন্য প্রাণ দিতে পারে? এনিয়েই ঠাট্টার ছলে পরীক্ষায় মেতেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। মজা করেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে কখনও ঝুলছিলেন স্বামী, কখনও বা স্ত্রী। কিন্তু এই খেলাই যে প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে তা বুঝে উঠতে পারেননি রায়গঞ্জ থানার বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিজ গ্রামের প্রতিমা বর্মন (২১) ও অনিমেষ বর্মন। খেলার ছলে গলায় ফাঁস চেপে বসায় মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী প্রতিমার। স্ত্রীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ স্বামী।
বছর দুয়েক আগে অনিমেষ বর্মনের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিমার। তাঁদের একটি ৭ মাসের শিশু সন্তানও আছে। সদ্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স পাশ করে স্নাতকোত্তরে ভর্তির পরিকল্পনা করছিলেন প্রতিমা। টোটো সারাইয়ের কারখানা রয়েছে অনিমেষের। মোটামুটি স্বচ্ছল সংসারে ভালবাসার কোনও অভাব ছিল না স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাদের মধ্যে কোনদিন ঝগড়া-ঝঞ্ঝাট দেখা যায়নি। অবসর সময়ে স্ত্রীকে মোটরবাইকে চাপিয়ে ঘুরতে নিয়ে যেতেন অনিমেষ।
অনিমেষ বর্মন বলেন, ‘আমরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি, কোনওদিন আমাদের মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা হয়নি। ইয়ার্কি করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে গেল। সাত মাসের শিশুকে নিয়ে কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা।’ মৃত বধূর বাবা প্রদীপ বর্মন বলেন, ‘আমার জামাই খুব ভালো। কোনদিন আমার মেয়েকে কষ্ট দেয়নি। তাঁকে পড়াশোনা করিয়েছে, উচ্চশিক্ষিত করেছে। কপালে ছিল তাই এই দুর্ভোগ পোহাতে হল ইয়ার্কি না করলে এমনটা হত না।’ রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার জেরে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।