চোপড়াঃ চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের উপর পুলিশী লাঠিচার্জের ঘটনার পর অবশেষে শুক্রবার প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বিধায়ক। একুশে জুলাই কলকাতার সমাবেশে অংশ নিতে না পেরে মন খারাপের কথা ব্যক্ত করলেন তিনি। সমাবশে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও নাকে আঘাত লাগার কারণে সমাবেশে অংশ নিতে পারলেন না।
গত ১১ জুলাই ইসলামপুর গননাকেন্দ্রের সামনে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান ও তার সঙ্গীদের উপর পুলিশি লাঠি চার্জের অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় বিধায়ক গুরুতর জখম হন। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি হতে হয়। ওই দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, গোটা ঘটনাটি পরিকল্পিত। এই ঘটনার জন্য এদিন ফের তিনি দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনকেই দায়ী করেন। এমনকি তাঁর মেয়েকে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন হামিদুল।
হামিদুল রহমানের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হয়েছে। ভোটের চারদিন আগে থেকে নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে ভয় দেখাতে বিভিন্ন অজুহাতে পুলিশ পাঠাতে থাকে। ৪ নম্বর জেলা পরিষদ আসন থেকে মেয়ে নির্দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তাকে হারানোর জন্য নির্বাচনের আগে থেকেই ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। গননার দিন নির্দল প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভেতরে প্রশাসনের মদতে কারচুপি করে মেয়েকে হারানো হয়। বিষয়টি প্রশাসন স্তরে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় গণনাকেন্দ্রে বিষয়টি জানতে গিয়েই লাঠিপেটা খেতে হল। এদিন তিনি দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি ইসলামপুর দলের ব্লক সভাপতিকে এক হাত নেন। ইসলামপুরে দলের ব্লক সভাপতির বুথে এক ঘণ্টায় ভোট শেষ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।