উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা সম্ভব হয়নি এবার তা করে দেখালো বিরোধীরা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেননি ইলামবাজার, খয়রাশোল ও দুবরাজপুর ব্লকে। এ বারে এই সব ক’টি জায়গায় বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে। অনুব্রত মণ্ডলের তিহাড়ের জেলে যাওয়াই কী এর কারণ? সেটাই মনে করছে বিরোধী শিবির।
এবার বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচন নেই অনুব্রত মণ্ডল। গোরুপাচার মামলায় বর্তমানে কেষ্ট তিহাড়ে বন্দি। তাই অন্যবারের তুলনায় বীরভূম জেলায় দাপট কম তৃণমূলের। শুক্রবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব। প্রথম দিনে বিরোধীরা বীরভূম জেলার একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা করলেও তৃণমূলের তরফে একটিও মনোনয়ন জমা করেনি তৃণমূল। গত দু’দিনে বিরোধীদের মোট ১০২৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে বীরভূমে। এর মধ্যে প্রথমদিনে তিন স্তরে মিলিয়ে ১৩০টি আসনে এবং দ্বিতীয় দিন ৪৯৬টি আসনে মনোনয় জমা পড়েছে। তবে মনোনয়ন জমা দিলেও ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে তা নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে থাকায় তৃণমূলের দাপট তুলনামূলক ভাবে কম সে কথা মেনে নিয়েছেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা।
উল্লেখ্য, গত বার সিউড়িতে জেলা পরিষদের একটি আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি কংগ্রেস-বাম জোট। এ বার তারা মিলিত ভাবে জেলা পরিষেদর অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষের কথায়, ‘ভোটে প্রশাসন কি ভূমিকা নেয় সেটাই দেখার।’
জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকায় বীরভূমে দল পরিচালনার জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। পর্যবেক্ষক হিসাবে রয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। এ বার পারবে কি না দেখা যাক।’
তবে প্রথম দিন থেকে যে ভাবে মনোনয়ন জমা দিতে তৎপর বিরোধীরা। সেই তৎপরতা প্রচারেও থাকবে বলে দাবি তাদের। ভোটের ফলেও যে এর প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে আশাবাদী তারা।