উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ জুন ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা শেষ না হতেই রাজ্যে একাধিক জায়গায় কার্যত বিনা যুদ্ধে ‘জয়ী’ হয়েছে তৃণমূল। চোপড়ায় ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২১৭টি আসনের একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। তাই সব আসনে শাসকদলের জয় সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব না মেটা পর্যন্ত বিজয়োল্লাস করতে চায় না তৃণমূল। এদিকে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলোর দাবি, ভোটে প্রার্থী দিতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল।
চোপড়ায় পঞ্চায়েত পর্বে গতকাল সবথেকে বড় হামলার ঘটনা ঘটে। বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিতে জখম হন তিন বিরোধী দলের কর্মী। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপর আর মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করেনি বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল জানিয়েছে, তাঁদের উপরই হামলা চালিয়েছে বিরোধীরা।
এ বিষয়ে চোপড়ার বিডিও সমীর মণ্ডল বলেন, ‘দেখছি কী করা যায়।’ সিপিএমের আনারুল হক বলেন, ‘আমরা কোনও মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি, আর কেউ যাবেও না।‘ তৃণমূলের বিদায়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আজহারউদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে স্কুটিনি ও মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরই বিজয় উৎসব করব।‘