দিনহাটা: ‘মিটিং মিছিলে থেকে কিংবা জনসমর্থন বাড়িয়ে লাভ নেই, বরং অর্থবলেই মিলছে পদ।‘ কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষে বিডিও অফিস থেকে বেরিয়েই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূলের দিনহাটা ২ ব্লক মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা গোবড়াছড়া নয়ারহাট গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দল করি। দীর্ঘদিন জেলা পরিষদ সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। গতবারও গোবড়াছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছি। এবার বিধায়ক উদয়ন গুহের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ছেড়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়াই। পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। গতবার বীরেন বর্মন সভাপতি হয়েছিলেন। এবারও ওনার স্ত্রী সভাপতি হলেন। সভাপতির আসন কি সরকারি চাকরির মতো? দলের ব্লক সভানেত্রী হিসেবে এলাকায় দলের প্রতিটি সভা সমিতিতে থাকি, দলকে মজবুত করতে কাজ করি। অর্থেই আসল কথা হয়েছে।‘
৩৬টি আসন বিশিষ্ট দিনহাটা ২ পঞ্চায়েত সমিতি। মোট ৩৫টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল ও ১টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। শুক্রবার ছিল এই সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচনের দিন। সভাপতির পদটি ছিল মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এদিন নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে দেখা যায়, বিদায়ী সভাপতির স্ত্রী সুভাষিনী বর্মন সভাপতি ও পরেশচন্দ্র বর্মন সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এরপরই বিডিও দপ্তর চত্বর থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতাজ বেগম।