হরিশ্চন্দ্রপুর: পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই হরিশ্চন্দ্রপুরে ফের প্রকাশ্যে এল শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকে সাতটি পঞ্চায়েতের তৃণমূল ধরাশায়ী হওয়ার পরেই খোদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতির অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বরুই অঞ্চলে।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট দিয়েছেন ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতি। যোগ্য ব্যক্তিরা ভোটের সময় দলে জায়গা পায়নি। যার ফল ভুগতে হয়েছে দলকে। হাত ছাড়া হয়েছে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই হেরেছে তৃণমূল। জেলাজুড়ে ভালো ফলাফলের পরেও হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের এই ফলাফল চিন্তায় ফেলেছে জেলা নেতৃত্বকে। তার মধ্যে এবার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলকর্মীরা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ বি ব্লক সভাপতি মানিক দাস এবং অঞ্চল সভাপতি মিন্টু দাসকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন। বিক্ষোভ থেকে স্লোগান উঠল “মানিক হাটাও তৃণমূল বাঁচাও”।
দলেরই এক কর্মী রেজা আলি বলেন, ‘দলের ব্লক সভাপতি টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বিক্রি করেছেন অযোগ্য প্রার্থীদেরকে শাসক দলের প্রতীকে দাঁড় করিয়েছেন বলেই আজকে হরিশ্চন্দ্রপুর বি ব্লকের চারটি অঞ্চলে দলের এই ভরাডুবি হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে ব্লক সভাপতি মানিক দাসকে অপসারণ করে যোগ্য ব্যক্তিকে ব্লক সভাপতি করা হোক।‘
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ বি ব্লকের শাসক দলের ব্লক সভাপতি মানিক দাস জানান, যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা দলের কেউ না এরা প্রত্যেকের চোর। দলের নাম ভাঙিয়ে এরা এতদিন দুর্নীতি করেছে এখন নিজেদের স্বার্থে ঘা লেগেছে বলে আমার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। আমার সভাপতি থাকাকালীন ওই চারটি অঞ্চলে মেম্বার ও বেড়েছে এবং তৃণমূলের ভোটও বেড়েছে। যারা এসব বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা জোটের দালাল।