রায়গঞ্জ: রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে(Raiganj University) স্টুডেন্ট উইক পালন করা হয়নি। সোমবার এই অভিযোগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা উপাচার্যের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, গত ২৬ ডিসেম্বর এবিভিপির বহিরাগত সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে এসে লাথালাথি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার অমিত মণ্ডল কোনও ভূমিকা পালন করেননি। তিনি নিজের দায়িত্ব পালন না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। অমিত মণ্ডলের পদত্যাগের দাবিতে তারা সরব হন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইভার্সি ফেস্টের দিন ঘোষণার দাবিতে সরব হন। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর তারা উপাচার্য দীপককুমার রায়ের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবিগুলো জানান।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সদস্য শুভাশিস ঝা বলেন, ‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট উইক পালন করা হয়নি। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। পাশাপাশি গত ২৬ ডিসেম্বর এবিভিপির কয়েকজন কর্মী বহিরাগতদের নিয়ে এসে গেটে লাথালাথি করে, কুরুচিরকর ভাবে আধিকারিক ও অধ্যাপকদের গালিগালাজ করে এবং রাইভার্সি ফেস্ট হতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। যিনি এস্টেট অফিসার তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। উনি নিজের দায়িত্ব পালন না করে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দু’দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।
যদিও এস্টেট অফিসার অমিত মণ্ডল বলেন, ‘সমস্ত ছবি সহ ডকুমেন্টস উপাচার্যকে পাঠিয়েছিলাম। দায়িত্ব পালন করেছি। আমি এখানে কোনও পার্টি করি না। যদি পদত্যাগ করতে হয়, করব। আমার কাজ পড়ানো।‘
এই প্রসঙ্গে উপাচার্য দীপককুমার রায় বলেন, অনেক দাবি দাওয়া নিয়ে ওরা এসেছিল, লিখিত কিছু দেয়নি। কারণ লিখিত না দিলে স্পষ্ট হবে না। তাই লিখিতভাবে দিতে বলেছি। সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওদের মধ্যে যে ভুল ধারণাগুলি ছিল সেগুলো আমরা বলে দিয়েছি। স্টুডেন্ট উইক পালনের দায়িত্ব ডিন ওয়েলফেয়ারের, উনি হয়তো ভুলে গিয়েছেন। আমিও ছিলাম না। আগামী ১২ জানুয়ারি পালন করা হবে।‘