উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ঝালদা পুরসভায় পালাবদল। অনেক দিনের চেষ্টায় কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে পুরুলিয়ার এই পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। রাজ্যে কংগ্রেসের দখলে এই একটিমাত্র পুরসভাই ছিল। শেষমেশ সেটাও হারাতে হল হাত শিবিরকে। ইন্ডিয়া জোটের আবহে দল ভাঙানোর এই খেলায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।
বুধবার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় ও চারজন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তার মধ্যে রয়েছেন ঝালদা পুরসভায় নির্বাচনের ঠিক পরেই খুন হয়ে যাওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাই মিঠুন কান্দু।
ঝালদা পুরসভায় মোট আসন ১২টি। পুরভোটের সময়ে পাঁচটি করে আসন জিতেছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস। বাকি দুটি আসন জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। নির্দলের টিকিটে জয়ী হন পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। প্রথমে দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে ফেলেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরে সোমনাথ কর্মকার কংগ্রেসে যোগ দেন। শীলা চট্টোপাধ্যায়ও তৃমণূলের থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে বোর্ড গঠন করেন। চেয়ারম্যান হন শীলাদেবীই।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ভোট হয় ঝালদায়। ভোটের ফল প্রকাশের পরই খুন করা হয় জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। বোর্ড দখলের লড়াইয়ে তপন কান্দু খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুও অভিযোগ করেছিলেন রাজনৈতিক কারণেই তাঁর স্বামীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পেছনে তৃণমূলের যোগ নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত তপন কান্দুর মৃত্যু মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। কিন্তু তপন কান্দুর ভাই মিঠুন কান্দু তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় লজ্জিত বোধ করছেন পূর্ণিমা। তিনি নিজেও পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন। এদিন তিনি জানান, ‘মিঠুন ভোটে দাঁড়িয়ে জেতার উপযুক্তই ছিল না। আমার স্বামীর দয়ায় উপনির্বাচন হওয়ার পরে ও জিতেছে। ওর নিজের কোনও ক্ষমতাই ছিল না। মিঠুন এটা মোটেই ঠিক করল না।’