উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে দলে টেনে পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে খড়গপুরের বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে দলবদল করিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। সিপিএমের জয়ী প্রার্থীর দলবদলে আপাতত তাদের ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। একের পর এক সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের দলবদল করিয়ে ফের বিতর্কের মুখে রাজ্যের শাসকদল।
গত মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে গণনার শেষে বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩০টি আসনের মধ্যে ১৪টি পেয়েছে তৃণমূল, বিজেপি পেয়েছে ১৩টি আসন, সিপিএম পেয়েছে ১টি, নির্দল পেয়েছে ২টি। এই পরিস্থিতিতে নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি বোর্ড তৈরি করে ফেলবে বলে আশঙ্কায় ছিল ঘাসফুল শিবির। শুক্রবার জয়ী একমাত্র সিপিএম প্রার্থী আফরোজা বেগম তৃণমূলে যোগ দিতেই কেটে গেল সেই আশঙ্কা।
এদিন আফরোজা বেগমের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। সুজয়ের দাবি, ‘আরও অনেকে তৃণমূলে আসার মতলবে আছে। তবে নির্দলের কাউকেই নেওয়া হবে না’। আফরোজা বেগম বলেন, ‘সিপিএমের হয়ে আমি এলাকায় উন্নয়ন করতে পারতাম না। উন্নয়নের স্বার্থে দেড়শো অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম’।
এই ঘটনায় তৃণমূল ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মুখে তৃণমূল বিরোধিতার কথা বললেও আসলে বিপদে তৃণমূলের পাশেই আছে সিপিএম। এই ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল। সবই পটনা বৈঠকের ফল।