উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল: বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি তৃণমূলের তরুণী কাউন্সিলর। আর তার জেরেই ওই কাউন্সিলরকে রীতিমতো হেনস্তা ও হুমকির অভিযোগ উঠল দলেরই যুবনেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা। অন্যদিকে, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ‘কথা না রাখার’ পালটা অভিযোগ করেছেন যুব তৃণমূল নেতা।
তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার শুক্রবার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাতে একটি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ‘বাড়ি থেকে বেরলেই ‘যৌনকর্মী’ বলে বিভিন্ন অশালীন কটূক্তি করা হচ্ছে তাঁকে। গালিগালাজও বাদ পড়ছে না বলে অভিযোগ কাউন্সিলরের। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতেও চড়াও হয়েছিল তৃণমূলেরই কয়েকজন।
এই চরম মানসিক ও সামাজিক অত্যাচারের ফলে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। অভিযোগ, তাঁকে পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকিও। সামাজিক মাধ্যমে ওই মহিলা কাউন্সিলর জানিয়েছেন, এক সময় তৃণমূল যুবনেতা প্রতীক দে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁকে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই হেনস্তার শুরু।
কিন্তু যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই যুব তৃণমূল নেতা প্রতীক দে জানিয়েছেন, ‘উনি দামি গাড়ি চড়ছেন, উইক এন্ডে পার্টি করছেন। কিন্তু ওয়ার্ডের কোনও কাজ করছেন না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মী এবং সমর্থকেরা। এমনকি প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে দল তদন্ত করুক। আমি মাথা পেতে নেব।’